৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সংবিধান ও সংহতি দিবসে বাহাত্তোর সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা জাতীয় কমিটি দিনাজপুর জেলা শাখার পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় সংসদের স্পিকার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, এ বছর শারদীয় দূর্গোৎসবে দেশের বিভিন্ন স্থানে পুজা মন্ডপে এবং মন্দিরে যে ধরণের হামলা, ভাংচুর এব হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ীতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে তা কেবলমাত্র ফৌজদারী অপরাধ নয়, দুর্বৃত্তরা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং পবিত্র সংবিধানের আলোকে অসাম্প্রদায়ীক ও মানবিক সমাজ নির্মাণ ভাবনার মুলে কুঠারাঘাত করেছে।
১৯৭২ সালের সংবিধানের মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা থাকলেও স্বাধীনতা লাভের পর গত ৪৯ বছরে দেশে বিভিন্ন সময় নানা ওযুহাতে এক শ্রেণির দুর্বৃত্তরা দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপরে হামলা ও নির্যাতন তাদের বাড়িঘর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মত ঘটনা ঘটিয়ে আসছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে বক্তৃতা মঞ্চে সোচ্চারকঠে উচ্চারণ করেন বাংলাদেশ একটি আদর্শ রাষ্ট্র হবে আর তার ভিত্তি বিশেষ কোন ধর্মীয় ভিত্তিক হবেনা। রাষ্ট্রের ভিত্তি হবে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে আমাদের দাবী অসাম্প্রদায়ীক শোষনমুক্ত সমাজতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক সুখী সমৃদ্ধশীল সোনার বাংলা গড়ার ব্রতে ৭২’র সংবিধানের মূল ধারায় ফিরে গিয়ে সেই অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করতে হবে। সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ এবং রাষ্ট্র ধর্ম বাদ দিতে হবে। পাঠপুস্তকে সংবিধান প্রস্তাবনার প্রথম ৪টি পরিচ্ছেদ সংযুক্ত করতে হবে। ৪ নভেম্বরকে জাতীয়ভাবে সংবিধান দিবস হিসেবে ঘোষনা করতে হবে।
স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৭২’র সংবিধান পুনঃ প্রতিষ্ঠা জাতীয় কমিটি দিনাজপুর জেলা শাখার চিত্ত ঘোষ, রেজাউর রহমান রেজু, এ্যাডঃ লিয়াকত আলী, শফিকুল হক ছুটু, রবিউল আউয়াল খোকা, এ্যাডঃ মেহেরুল ইসলাম, সুলতান কামাল উদ্দিন বাচ্চু, রহমতুল্লাহ রহমত, গোলাম নবী দুলাল, জলিল আহমেদ, নুরুল মতিন সৈকত, আসাদুল্লাহ সরকার, কানিজ রহমান, মনোয়ারা সানু, মিনতি ঘোষ, হবিবর রহমান, বাসুদেব শীল, আমিনুল ইসলাম আমু। স্মারকলিপিটি জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও উপ-পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) স্থানীয় সরকার দিনাজপুর মোঃ শরিফুল ইসলাম এর হাতে প্রদান করা হয়।