‘‘কোভিড-১৯ এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করি, নারী আন্দোলনকে অগ্রসর করি” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ১৭ অক্টোবর’২০২১ থেকে ৩১ অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত দেশব্যাপী সাংগঠনিক পক্ষ পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় দিনাজপুর উদীচী মিলনায়তনে ১৭ অক্টোবর বিকাল ৪ টায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সদস্য আজাদী হাই এবং আকতার কোহিনুর ইসলাম এর সদস্য পদ নবায়নের মাধ্যমে সাংগঠনিক পক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পালন করা হয়।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখা ১৭ অক্টোবর’২০২১ থেকে ৩১ অক্টোবর ২০২১ বিভিন্ন পাড়া, ইউনিয়ন ও উপজেলা শাখায় সদস্য সংগ্রহ, সদস্য পদ নবায়ন, নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্যপদ নবায়ন, কর্মী সভা, সাংগঠনিক সফর, উঠান বৈঠক, সাংগঠনিক প্রশিক্ষণ, নতুন কমিটি গঠন, মতবিনিময় সভা (তরুন-তরুনী/আদিবাসী নারী-পুরুষ নিয়ে) এবং পক্ষের সমাপনি অনুষ্ঠান কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। সভার শুরুতে বাংলাদেশের মতো একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশে একশ্রেণির দূর্বৃত্তরা শারদীয় দূর্গোৎসবে যে নিন্দনীয় ধংসযজ্ঞ চালায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখা তার তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি কানিজ রহমান। সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক রুবিনা আকতার তার স্বলিখিত প্রবন্ধ ‘বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাংগঠনিক পক্ষ-২০২১ প্রসঙ্গে কিছু কথা’ পাঠ করেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্যে সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারা সানু বলেন, বাংলাদেশের মহিলা পরিষদ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ঘোষনাপত্র ও গঠনতন্ত্রের মাধ্যমে পরিচালিত আন্দোলনমুখী সংগঠন মহিলা পরিষদ। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আমরা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছি। এবং কোভিডকালীন সময়েও দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন মাত্রায় নারী নির্যাতন বেড়েছে। এই নির্যাতন ও অপ্রাপ্তির বাংলাদেশে একুশ শতকের একজন যোগ্য সংগঠন হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে সমসাময়িক বিষয় সমূহ এবং বিজ্ঞানও প্রযুক্তি সর্ম্পকে জ্ঞান অর্জন জরুরী। সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনায় কর্মী হিসেবে অর্জন চ্যালেঞ্জ পর্যালোচনা করার সময় এসেছে। সংগঠনিক পক্ষে সবাইকে নিজ নিজ কর্ম যাচাই এবং নারী পুরুষের সমতাপূর্ণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বেগবান করার প্রত্যয় নেবার আহ্বান জানান। সমতাপূর্ণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনে সরাসরি নির্বাচন ও আসন সংখ্যা বৃদ্ধির আন্দোলন চালিয়ে যাবার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
উক্ত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মিনতি ঘোষ, সুমিত্রা বেসরা, অর্থ সম্পাদক রতœা মিত্র, প্রচার সম্পাদক জেসমিন আরা, সমাজকল্যান সম্পাদক শাহানাজ পারভীন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা পলি, পরিবেশ সম্পাদক মওদুদা বেগম সহ জেলা ও পাড়া কমিটির সাধারণ সদস্যবৃন্দ।