মোঃ নুর ইসলাম, দিনাজপুর ॥ ২৬ অক্টোবর মঙ্গলবার দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হলরুমে এন ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিস্টেম এপ্রোচ টু বিল্ড নিউট্রিশন সিকিউরিটি প্রজেক্ট এর আওতায় আরডিআরএস বাংলাদেশের আয়োজনে এবং হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় জিংক ধান বীজ ভ্যালু চেইন এক্টরদের সাথে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রদীপ কুমার গুহ।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএডিসি’র উপ-পরিচালক মোঃ মাজহারুল ইসলাম, দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক (ইনচার্জ) শাহ আলম, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা এসএম আবু বক্কর সাইফুল ইসলাম, এন ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিস্টেম এপ্রোচ টু বিল্ড নিউট্রিশন সিকিউরিটি প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর কৃষিবিদ মজিবর রহমান, এআরডিও কৃষিবিদ মোঃ রুহুল আমিন মন্ডল।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আরডিআরএস রংপুর কার্যালয়ের কৃষি অফিসার অনুপ কুমার ঘোষ, শাহিনুর ইসলাম, দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ের কৃষি অফিসার জুলকার নাইন প্রমূখ।
আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কৃষি কর্মকর্তা বিএডিসি উপ-পরিচালক বীজ বিপণন, বিভিন্ন বীজ কোম্পানির প্রতিনিধি, বীজ ডিলার, কৃষকদল নেতা, মহিলা কৃষক দলনেত্রী ও গণমাধ্যমকর্মীগণ।
আলোচনা সভায় আলোচকবৃন্দ অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মানবদেহে জিংক এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। জিংক সমৃদ্ধ খাবার খেলে ছেলেমেয়েরা খাটো হয়না, শিশুদের দৈহিক বৃদ্ধি ও মেধা বিকাশ হয়। ক্ষুধা মন্দা দূর হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, গর্ভবতী মায়েদের জিংকের এর অভাব হলে শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয় এবং শিশুর স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মহিলাদের দৈনিক ৮-১২ মিলিগ্রাম জিংক এর প্রয়োজন, যার মধ্যে বাংলাদেশের মহিলারা ৩.৬১ মিলিগ্রাম গ্রহণ করে থাকে। শিশুদের (১-৫ বছর) দৈনিক ৩-৫ মিলিগ্রাম জিংক এর প্রয়োজন এবং আমাদের শিশুরা গড়ে ২.৬৭ মিলিপ্রাম গ্রহণ করে থাকে। ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা শতকরা ৩৬ ভাগ শিশু এবং ৫৭ ভাগ মহিলা জিংক এর অভাবজনিত কারণে অপুষ্টিতে ভুগছে। ১৫ থেকে ১৯ বছরের শতকরা ৪৪ ভাগ মেয়েরা জিংক এর অভাবজনিত কারণে খাটো হয়ে যাচ্ছে। ভারতের মধ্যে জিংক এর পরিমাণ অল্প থাকায় বায়োফটিফিকেশন এর মাধ্যমে জিংক ধান উদ্ভাবন করা হয়েছে, যা আমাদের জিংক এর অভাবজনিত অপুষ্টি পূরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।