দিনাজপুরে ঈদের পর দ্বিতীয় দফার কঠোর লকডাউনের পঞ্চম দিন মঙ্গলবার রাস্তায় মানুষ ও যানবাহন চলাচল অনেক বেড়েছে। ফলে কাঁচাবাজারসহ সব জায়গায় মানুষের জটলা চোখে পড়ছে। তবে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
গত ১ জুলাই থেকে সরকার সারা দেশে ৭ দিন করে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেয়। ১৪ জুলাই কঠোর লকডাউন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঈদুল আযহা’র জন্য ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত কঠোর লকডাউন কিছুটা শিথিল করা হয়। ঈদের পর ২৩ জুলাই সকাল ৬টা হতে আগামী ৫ আগষ্ট রাত ১২টা পর্যন্ত আবারো ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনের (বিধিনিষেধ) ঘোষণা করে সরকার।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শহরের রাস্তায় মানুষের চলাচল অনেক গুন বেড়েছে। সেই সাথে বেড়েছে যানবাহনের চলাচলের সংখ্যাও। দেখে বুঝার উপায় ছিল না যে, দেশে কঠোর লকডাউন চলছে। দিনাজপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র বাহাদুরবাজারে বাজার করতে আসা মানুষকে গাদাগাদি করে বাজার করতে দেখা গেছে। কেউই মানছেন স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব। এমনকি মুখে মাস্ক পড়তেও দেখা যায়নি অনেককে।
এছাড়া শহরের চাউলিয়াপট্টি মোড়, বালুয়াডাঙ্গা টেম্পু স্ট্যান্ড, স্টেশন রোড, লিলির মোড়, মডার্ণ মোড়, ছয়রাস্তার মোড়, রামনগর মোড়, লালবাগ মোড়, সদর হাসপাতাল মোড়, ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড মোড়সহ বিভিন্ন মোড়ে মানুষের জটলা দেখা গেছে। সকাল-সন্ধ্যা কারণে অকারণে মানুষ চা-পান খাওয়ার অজুহাতে মানুষ এসব স্থানে অযথা ভিড় করছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে লকোচুরি খেলছেন মানুষ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ী দেখলেই দ্রæত ঘটনাস্থল থেকে সড়ে পড়ছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ী চলে গেলে আবারো মোড়ে এসে জড়ো হচ্ছেন।
জেলা শহর ও আশপাশের বিভিন্ন হাটবাজারেও মোড়ে একই অবস্থা। সর্বত্রই মানুষের জটলা ছিল চোখে পড়ার মত। শহরের তুলনায় গ্রামে-গঞ্জে মানুষের মুখে মাস্ক পড়ার প্রবনতাও কম লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে জরুরি প্রয়োজনে মোটরসাইকেল নিয়ে যারা ঘর থেকে বের হয়েছেন তাদের অনেকেই একই গাড়িতে ২/৩ জনকে চড়তে দেখা গেছে। আবার নিয়ম অমান্য করায় অনেককেই জরিমানাও গুনতে হয়েছে।
তবে দিনাজপুর শহরের প্রবেশপথসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অযথা ঘুরাফেরা করতে যাওয়া মানুষকে ও সন্দেহভাজন যানবাহনকে চেক করছেন। যারা সুনিদিষ্ট কোন অজুহাত দেখাচ্ছেন তারা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছেন। আর যারা সুনিদিষ্ট কোন কারণ দেখাতে পারছেন না তাদেরকে জরিমানা গুনতে হয়েছে।