দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ মোঃ মোমেনুল হক বলেছেন, আমাদের সন্তানদের রোবট না বানিয়ে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চায় সম্পৃক্ত করতে হবে। বাঙালী আর বাঙলার ঐতিহ্য ফিরিয়ে আননে প্রজন্ম শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে অভিভাবকদের এগিয়ে আসতে হবে। সংস্কৃতি’র আলো সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে পারলে আমাদের স্বাধীনতা রক্ষার ক্ষেত্রে দেশপ্রেমের বাতাবরণ সৃষ্টি হবে।
৩০ মার্চ বুধবার ক্ষেত্রিপাড়া রেনেঁসা ক্লাব মিলনায়তনে সৃজনশীল সংগঠন মনি মেলার আয়োজনে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে “যুদ্ধ দিনের গল্প শোনা”এর বিজয়ীদের মাঝে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ, সঙ্গীতানুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেন। বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক ইয়াসমিন আরা রানুর সভাপতি সূচনা বক্তব্য রাখেন মনি মেলার প্রতিষ্ঠাতা ও বিশিষ্ট রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী নুরুল মতিন সৈকত। মুখ্য আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক ও জেলা খেলাঘর আসর দিনাজপুরের সভাপতি কবি জলিল আহমেদ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রেনেঁসা ক্লাবের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, দিনাজপুর নাট্য সমিতির সাধারন সম্পাদক রেজাউর রহমান রেজু, জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সভাপতি রবিউল আউয়াল খোকা ও সুইহারী সঙ্গীত নিকেতনের পরিচালক সনদ চক্রবর্তী। “যুদ্ধ দিনের গল্প শোনা” এর গল্প পাঠ করেন মুক্তা মাহবুব। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন মনি মেলার সাধারন সম্পাদক শাবাব হুসনাইন রোমেল। কবিতা আবৃত্তি করেন রোজা আক্তার বুশরা, তনুশ্রী রায়, হুমায়রা আক্তার রেনু, প্রিয়াংকা বসাক। একক গান পরিবেশন করেন বেদৌত্র বসাক। প্রধান অতিথি এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ মোঃ মমিনুল হক ক-বিভাগে প্রথম দিনাজপুর কলেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেনির শিক্ষার্থী লিওয়াজা ইনাস, খ- বিভাগে প্রথম হয় দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনির শিক্ষার্থী নিহারীকা রায় প্রজ্ঞা, গ-বিভাগে প্রথম হয় সেন্ট ফিলিপস্ হাইস্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেনির শিক্ষার্থী বিশাখা কুন্ডু মৌ সহ বিজয়ীদের মাঝে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করেন।