দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলায় রেললাইনে পড়ে ছিল শিফাত আহম্মেদ শিশির (১৭) নামের এক কলেজছাত্রের পা–কাটা লাশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফুলবাড়ী পৌর শহরের রেলঘুমটি–সংলগ্ন রেললাইনের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার পুলিশ।
নিহত শিফাত আহম্মেদ উপজেলার কাজীহাল ইউনিয়নের আঁখিঘোটনা গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে। সে ফুলবাড়ী শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
নিহতের চাচাতো ভাই মেজবা কামাল বলেন, শিফাত গতকাল সকাল সাড়ে আটটায় বাড়ি থেকে কলেজ যাওয়ার জন্য বের হয়। কলেজ শেষে পৌর এলাকার চকচকা গ্রামে তার খালার বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সারা দিন পেরিয়ে সন্ধ্যা নামলেও শিফাত তার খালার বাড়িতে যায়নি। পরে রাত ১০টায় রেললাইনের পাশে শিফাতের লাশ পাওয়া যায়। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
ফুলবাড়ী রেলস্টেশনের মাস্টার হায়দার আলী বলেন, ফুলবাড়ী থেকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি পার্বতীপুর যায়। ট্রেনটি যাওয়ার ১০ মিনিট পরে গেটম্যানের মাধ্যমে জানতে পারেন, রেলঘুমটি–সংলগ্ন হোম সিগন্যাল ও আউটার সিগন্যালের মাঝামাঝি স্থানে রেললাইনের পাশে একটি পা–কাটা লাশ পড়ে আছে। বিষয়টি পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার পুলিশকে (জিআরপি) জানানো হলে তারা লাশটি উদ্ধার করে।
পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম নুরুল ইসলাম বলেন, বাঁ পা কাটা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ট্রেনে কাটা পড়ে ছেলেটির মৃত্যু হয়েছে কি না, তা নিয়ে পরিবারে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। প্রকৃত কারণ জানতে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমাদের ফেইসবুক লিংক : ট্রাস্ট নিউজ ২৪