পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা কার্ড তৈরি করা হয়েছে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) শিশু-কিশোরদের আঁকা ছবি দিয়ে। সেখানে স্থান পেয়েছে দিনাজপুরের বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী আরিফা আক্তার আঁখির আঁকা একটি ছবি। আর এতে খুশি হয়ে আঁখিকে ১ লাখ টাকার ঈদ উপহারের চেক পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার (২৮ জুন) জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে সেই চেক আঁখির হাতে তুলে দেন হুইপ ইকবালুর রহিম।
উপহারের চেক হাতে পেয়ে এবং তার আঁকা ছবি দিয়ে ঈদকার্ড তৈরি করায় ইশারায় আঁখি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। আঁখি তার আঁকা উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ ঈদগাহ ময়দানের ছবি সরকার প্রধানের শুভেচ্ছা কার্ডে স্থান পাওয়ায় খুবই আপ্লুত।
জন্ম থেকেই বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (শ্রবণ প্রতিবন্ধী) আঁখি দিনাজপুর পৌর এলাকার পশ্চিম বালুয়াডাঙ্গার পুরাতন পুস্তক ব্যবসায়ী আনারুলের মেয়ে। সে দিনাজপুর বধির ইনস্টিটিউটের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
আঁখির মা শাহানাজ পারভীন জানান, শিশুকাল থেকেই আঁখির পড়ালেখা ও ছবি আঁকার প্রতি আগ্রহ। কিন্তু কথা বলতে ও শুনতে না পারায় তার স্বাভাবিক পড়াশোনা সম্ভব হয়নি। তার আগ্রহ দেখে তাকে ভর্তি করা হয় দিনাজপুর বধির ইনস্টিটিউটে। পাশাপশি একটি আর্ট স্কুলেও তাকে ভর্তি করা হয়।
তিনি বলেন, আঁখির জন্মের পর কথা বলা ও শুনতে না পারার কারণে বেশ কষ্ট পাচ্ছিলাম। কিন্তু মেয়ে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতিভা দেখে সেই কষ্ট দূর হয়ে গেছে।
আঁখির বাবা আনারুল ইসলাম বলেন, ছবি আঁকার বিষয়টি মেয়ের নিজের পছন্দের। মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, পরিবেশ, আকাশ, প্রকৃতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আঁখি ছবি আঁকতে পছন্দ করে। স্থানীয় পর্যায়ে ছবি আঁকার প্রতিযোগিতায় আঁখির অবস্থান থাকবেই। ছবি এঁকে অসংখ্য পুরস্কারও পেয়েছে আঁখি।
সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম বলেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু-কিশোররা সমাজের বোঝা নয়, আঁখি সেটা প্রমাণ করেছে। তাদের মধ্যেও কোনো না কোনো প্রতিভা রয়েছে। আঁখি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তার ছবি দিয়ে দিনাজপুরকে আলোকিত করেছে। আমরা দিনাজপুরবাসী তার কাছে কৃতজ্ঞ।
ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ ঈদগাহ ময়দানে ২০১৭ সাল থেকে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
আমাদের ফেইসবুক লিংক : ট্রাস্ট নিউজ ২৪